মুরাদ হাসান,শিমুল চৌধুরী: [২] কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। এমনকি সর্বচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যকার ব্যবধান অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে বেশি। এছাড়া শৈতপ্রবাহের কারণে দেশের অনেক স্থানেই টানা ৮-৯দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। 

[৩] ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। শীতের এমন অবস্থার মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরপর আবার শীত বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 [৪] মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। মৌলভীবাজারে সূর্যের দেখা  নেই চারদিন ধরে।

[৫], রাজশাহীতে হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। হিমেল বাতাসে বেড়েই চলেছে তীব্রতা। গত দুদিনের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও বেশি ঠান্ডা কমেনি।  কর্মজীবার ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

[৬] উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতে দুর্ভোগ তীব্র হচ্ছে । হাড়কাঁপানো শীতে কর্মজীবীরা  জীবিকার তাগিদে  বের হতে পারছেন না। শীতবস্ত্র- খাবার দুইয়ের কষ্টেই আছেন তারা।  খরকুটো,টায়ার কার্টুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে হাটবাজার, রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায়, কিংবা মোড়ে মোড়ে।এদিকে জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল গুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে।

[৭] নীলফামারীতে ৮ দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। 

[৮] কুড়িগ্রামে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। দিনভর সূর্যের আলো না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা দিনে ও রাতে একই থাকছে। টানা শৈত্য প্রবাহের কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ।সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ।